BNH DESK
২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪:৪০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে চলার মতো টেলি নেটওয়ার্ক কাঠামো দরকার

ঢাকা: সহজভাবে সেবা প্রদানের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক কাঠামো ডিজাইন করা দরকার বলে খাত সংশ্লিষ্ট একটি কর্মশালায় মতামত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

টেলিযোগাযোগ খাতের নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং কাঠামো সংস্কারের অংশ হিসেবে বিদ্যমান লাইসেন্সধারীদের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসিতে দিনব্যাপী পরামর্শমূলক কর্মশালায় তারা এমন মতামত দিয়েছেন।

 

 

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ।

কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংক, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন, টেলিযোযোগাযোগ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সামমেরিন ক্যাবলস লিমিটেড, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিটিটেড (বিটিসিএল), মোবাইল অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারর্স, আজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম অব বাংলাদেশ, অ্যাসোসিয়েশন অব আইসিএক্স অপারেটরস বাংলাদেশ, টাওয়ার কোম্পানি, ন্যাশনওয়াইড টেলিকম ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন), ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি), ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ, টাওয়ার অপারেটর, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর প্রতিনিতিবৃন্দসহ বুয়েট, এমআইএসটি, নর্থ-সাউথ, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে বিটিআরসি কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ বলেন, টেলিযোযোগাযোগ খাতের বিদ্যমান লাইসেন্স ও নেটওয়ার্ক কাঠামো খুবই জটিল। তাই এমন একটি নেটওয়ার্ক কাঠামো ডিজাইন করা দরকার যেখানে ডিজিটাল সেবাধানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ সহজভাবে তাদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। নতুন নেটওয়ার্ক কাঠামো বৈষম্যহীন, স্বচ্ছ, সহজলভ্য, ন্যূরতম মানদণ্ড নির্ধারণ এবং বহুমাত্রিক সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন সংস্কারে আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলন ও দেশের বিদ্যমান বাস্তবতাকে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

কর্মশালার অংশগ্রহণকারীরা চারটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন। সেগুলো হলো- বিদ্যমান নেটওয়ার্ক কাঠামো সংস্কার; গ্রাহক পর্যায়ে সেবা প্রদান; জাতীয় কানেক্টিভিটি সেবাপ্রদান এবং আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান সংক্রান্ত।

গ্রুপ-১ এর আলোচনায় নেটওয়ার্ক টপোলজির ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে উৎসাহ প্রদান, সার্ভিস নিরপেক্ষতা, একটিভ শেয়ারিং, ফাইভজি গাইডলাইন প্রণয়ন, মানসম্মত সেবা নিশ্চিত, লাইসেন্সিদের জবাবদিহিতা এবং উন্মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতা বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহমুদ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে মোবাইল অপারেটরস, এনটিটিএন, আইসিএক্স, আইআইজি, এমএনপি, আইএসপি, আইটিসি, টাওয়ার কোম্পানি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্যাটেলাইট কোম্পানির প্রতিনিধি ও টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।

গ্রুপ-২ আলোচনায় গ্রাহক পর্যায়ে সেবার ধরন নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সার্ভিস লাইসেন্স থেকে তরঙ্গ লাইসেন্স আলাদা রাখা, লাইসেন্স উন্মুক্ত রাখা, ওটিটি ও ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা প্রদান, সুস্থ বাজার প্রতিযোগিতা, ফাইভ-জি সেবা প্রদানে ফিক্সড ও মোবাইল সার্ভিস লাইসেন্সকে একীভূত করা, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ও স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল রানার সঞ্চালনায় এতে মোবাইল অপারেটর, পিএসটিএন অপারেটর, আইএসপি অপারেটর, বাংলাদেশ কলন্টোর অ্যাসোসিয়েশন, স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ আর্মি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রুপ-৩ এর আলোচনায় জাতীয় পর্যায়ে কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে কারিগরী ও আর্থিক সক্ষমতা, এনটিটিএন, টাওয়ারকো ও আইসিএক্স অপারেটরদের লাইসেন্স সংখ্যা, সেবার ধরন অনুযায়ী উন্মুক্ত লাইসেন্স ও উন্মুক্ত বাজার পদ্ধতি চালুর বিষয় উপস্থাপন করা হয়। কমিশনের সিস্টমেস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খলিল উর রহমানের সঞ্চালনায় এতে এনটিটিএন অপারেটর, মোবাইল অপারেটর, আইসিএক্স, টাওয়া কোম্পানি, বিটিসিএল, নিক্স, এমএনপি, আইএসপি ও টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

গ্রুপ-৪ এর আলোচনায় ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটি সেবার লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্বপ্লমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে বিবেচনায় নেওয়া, স্থানীয় বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দেওয়া, সরকারি ও বেসরকারি লাইসেন্সিদের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণ এবং কাউকে অনায্য সুযোগ না দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আইটিসি, আইআইজি, আইজিডব্লিউ ও মোবাইল অপারেটর, বিটিসিএল, স্যাটেলাইট কোম্পানির প্রতিনিধিরা ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।

গ্রুপ আলোচনা সঞ্চালনা করেন কমিশনের সিস্টেমস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদুজ্জামান।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাড়িভাড়া না হওয়ায় সাড়ে ১০ হাজার যাত্রীর হজ নিয়ে শঙ্কা

শূন্যতা থাকে না, মানুষ অন্য দেশে সমাধান খুঁজে নেয়: ভারতের ভিসা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা

বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি: পল ক্রুগম্যান

দোকান-সুপারশপে ‘ইসরায়েলি পণ্য’ না রাখতে হুমকি, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

২০২৫ সালে বিশ্বের ৫০টি সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ: ৪৭তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম

Facebook (Meta): বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির উত্থান, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

Apple Inc.: বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান

১৩৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান গ্রেপ্তার

দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার সংক্রমণ শনাক্ত

দুদিনের মধ্যেই সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১০

অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে বের হতে না পেরে চারজনের মৃত্যু: ফায়ার সার্ভিস

১১

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নাম পরিবর্তন

১২

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: রাখাল রাহার বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা

১৩

একটা পলাতক দল অস্থিতিশীল করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে: বিবিসি বাংলাকে ড. ইউনূস

১৪

এলপি গ্যাসের দাম কমলো

১৫

ডাল, আটা-ময়দায় ভ্যাট প্রত্যাহার

১৬

মৃত্যুর আগে আর আ. লীগ করব না: কামাল আহমেদ মজুমদার

১৭

সংসদীয় সীমানা নির্ধারণে জনসাধারণের আবেদন প্রাধান্য দেবে ইসি

১৮

লুটপাটের টাকা এনে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হোক: জামায়াতের নায়েবে আমির

১৯

রাখাইনে সংঘাত: উখিয়া-টেকনাফে ঢুকেছে আরও অর্ধলাখ রোহিঙ্গা

২০